বরিশালের চরমোনাই পীরের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামীকাল শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে। কাল শুক্রবার বাদ জুমা আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মো. রেজাউল করিম পীরসাহেবের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হবে।
মাহফিলে অংশ নিতে ইতিমধ্যে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই মাদ্রাসার মাঠসহ আশপাশের বিরাট এলাকাজুড়ে মুসল্লিরা সমবেত হয়েছেন। উদ্বোধনী বয়ানে শরীয়ত ও মারেফত এবং মাদ্রাসা সম্পর্কে বয়ান রাখা হবে।
চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, বার্ষিক তিন দিনের মাহফিলে মোট সাতটি বয়ান হবে। এর মধ্যে পাঁচটি বয়ান করবেন চরমোনাই পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মো. রেজাউল করিম ও দুটি বয়ান করবেন পীরের ভাই আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম।
এ ছাড়া দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী, বাহরাইনের শায়খ আবদুর রহমান, মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মুফতি সৈয়দ মো. আবুল খায়ের, মরহুম পীর সাহেবের খলিফা মাওলানা আবদুর রশিদ (পীর সাহেব বরগুনা), আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর) ও অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ (পীর সাহেব খুলনা)।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন রোববার ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
মুসল্লিদের জন্য মোট চারটি মাঠে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার প্যান্ডেল করা হয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতাল রয়েছে। মাহফিলের বয়ান www.charmonaivs.net/live এই ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী সোমবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শেষ হবে।