চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ৪নং ওয়ার্ডের ভাষানচর আবাসনে গৃহবধূ কর্তৃক পুরুষের যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কর্তনের ঘটনায় পৃথক পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সর্বশেষ আজম আলী সর্দার মঙ্গলবার বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে এম.পি ১৬৫/২০ নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সরেজমিন গেলে, আজম আলী সর্দারের ছেলে নঈমের যৌনাঙ্গ কর্তনের বিষয় সম্পর্কে নঈমের ভাই ইলিয়াছ বলেন,ঘটনাটিকে ছিল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনী দ্বন্দ।
রসুলপুর ইউপি‘র সদস্য হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন আমার ভাই নঈম। এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মহিউদ্দিনগং ষড়যন্ত্রের জাল বুনে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর/২০ তারিখে গভীর রাতে ভাষান চরের গৃহবধূকে দিয়ে মহিউদ্দিন, বাবুল ও ইউছুফগং আমার ভাই নঈমের বুকের উপর বসে লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটিয়ে গৃহবধূকে দিয়ে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন। আমার পিতাও মূল রহস্য উদঘাটনের জন্যে চরফ্যাশন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ।
মামলার বাদী আজম আলী সর্দার বলেন, এই ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবীতে চরফ্যাশন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর ৩৬৫/২০ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি আদালত তদন্তের জন্যে সিআইডিতে দিয়েছেন। মামলা করে এলাকায় আসলে মহিউদ্দিন, বাবুল ও ইউসুফগং আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকী ধামকী দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ফলে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৬অক্টোবর মঙ্গলবার চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম.পি ১৬৫/২০ মামলা দায়ের করি।
নঈমের আরেক ভাই শিপন বলেন, আমরা নিরাপত্তায় হীনতায় আছি। প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করছি। গৃহবধূ বলেন, গভীর রাতে আমার ঘরে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে আমার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরেছে নঈম। আমি নিজে ধর্ষণ থেকে বাচঁতে ব্লেড দিয়ে তার লিঙ্গ কর্তন করেছি। এই ব্যাপারে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, লিঙ্গ কর্তনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী আটকের চেষ্টা চলছে।