চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে কেবল টিভির (ডিশ) ব্যবসা নিয়ে দু'পক্ষের গোলাগুলিতে যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় মামলা করেছে তার পরিবার।
নিহত ফরিদুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেন জানান, নিহত ফরিদুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে একটি মামলা করেছেন। মামলায় এম এ মুছা, ফয়সাল, রাসেল, মাসুদ ও মুরাদসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে কেবল টিভির (ডিশ) ব্যবসা নিয়ে দু'পক্ষের গোলাগুলিতে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি চকবাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানায় তার পরিবারের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, 'ডিসি রোড থেকে আসা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল ইসলামকে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয়। চমেকের ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুকে গুলি লাগায় মারা যান ফরিদ।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিসি রোডের গনি কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ডিশ ব্যবসা করে আসছিল যুবদলের নেতা এমদাদুল হক বাদশা। কেসিটিএনের তিন মালিক হলেন— এমদাদুল হক বাদশা, প্রসুন কান্তি নাগ ও শ্যামল কুমার পালিত। ফরিদুল ছিলেন বাদশার বন্ধু। বাদশার কেসিটিএন কেবল নেটওয়ার্কের ৮ শতাধিক গ্রাহকের লাইন জোর করে কেটে দিচ্ছিল প্রতিপক্ষ ফয়সাল গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই পক্ষ। বিকেলের দিকে তাদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com