চট্টগ্রাম নগরীর কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঈদের দিনই সিংহভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছে।নগরীতে পশু কোরবানির পর অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বর্জ্য ঈদের দিনেই দ্রুত সময়ে অপসারণ করেছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। জবাইয়ের স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঈদের দিন শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিল। ঘোষিত সময়ের মধ্যে নগরীর রাস্তা-ঘাট ও অলিগলি থেকে প্রায় সব পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়।চসিকের ২৫০টি গাড়ি নিয়ে ৪ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ করেন। চসিক নির্ধারিত স্থান ছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন রাস্তা ও অলিগলিতে কোরবানির পশু জবাই করা হয়। কোরবানির পর থেকেই বর্জ্য অপসারণে মাঠে নামে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একযোগে এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য নগরীর দামপাড়ায় খোলা হয় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ৪টি জোন- বিবিরহাট, গোসাইলডাঙ্গা, দেওয়ান বাজার ও সরাইপাড়া ওয়ার্ড কার্যালয়ে ৪টি সাব কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘মেয়রের নির্দেশনায় জনগণকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য চসিকের ৪১ ওয়ার্ডের ৩৬১টি স্থান নির্ধারিত ছিল। পশু জবাইয়ের পর থেকে ৪ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেন। বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীর রাস্তাঘাট ও অলিগলিতে বর্জ্য অপসারণ শেষ হয়।