ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত ও বাতাসে গাছপালা উপড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় অভ্যন্তরীণ সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ, মোবাইল ফোন ও ওয়াইফাই সংযোগও।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। এর আগে গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব শুরু হলে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিল।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের ও বসতঘর। এখনো পানিবন্দী রয়েছে বহু পরিবার।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বসতঘরের ক্ষতি হয়েছে। পানি ঢুকে অনেকের বসতঘরের মালামাল নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন, কৃষি ও মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি। তবে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে। মাছের ঘের থেকে মাছ ভেসে গেছে। কৃষিরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা করছি।