ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’র আশঙ্কা বাড়ছে

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

 

অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপটি আজ (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) রাতের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এটি ঘূর্ণিঝড় ‘আসানিতে’ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পরই কেবল বলা যাবে যে, এটি কোন পথে এগুবে এবং কেমন মাত্রায় কোথায় আঘাত হানবে।

 

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। এটি শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪২৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

 

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল আছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।