ঘূর্ণিঝড়ে আমরা প্রস্তুত-বরিশালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাংলাদেশের নদী ভাঙ্গন এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকাও ঘুরে গিয়ে দেখে এসেছি। এই করোনার মাঝেও আমি আগাম বন্যা কবলিত এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ঘুরে এসেছি।

 

আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা বন্যা আসার আগেই সুনামগঞ্জ থেকে কাঙ্খিত ফসল কেটে ঘরে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রকৌশলীরাও সেখানে রাত-দিন কাজ করেছে এবং বাধ সংরক্ষন করেও রেখেছিলো।

 

সোমবার (১৮ মে) বিকেলে বরিশাল নগরীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য আমাদের বিশাল একটি প্রকল্প রয়েছে, যা নিয়ে আমাদের প্রকৌশলীরা কাজ করছে। খুলনার একটি জায়গাতে একটি ভাঙ্গন হয়েছিলো, আমাদের প্রকৌশলীর কয়েকদিন ধরে সেখানে থেকে কাজ করে আসছে।

 

স্থানীয় সংসদ সদস্য সেখানে উপস্থিত আছেন। নদী ভাঙ্গনের ব্যপারে আমরা লক্ষ্য রাখছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে হবে নদী ভাঙ্গন রোধে বেরিবাধ একটি বিশাল প্রকল্প, এটা আজ বলেই কাল শুরু করতে কিংবা শেষ করতে পারি না। উপকূলীয় এলাকার জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে, প্রকল্প আমাদের আছে এবং আমরা করবো কিন্তু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা যেখানে ভাঙ্গণ হচ্ছে সেইসব এলাকা মোটামুটিভাবে সংরক্ষন করার চেষ্টা করি।

 

কিন্তু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, আর যেদিকে তাকাবেন নদীও তীর ভাঙ্গতে থাকে। এটা রোধে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে ছোট ছোট ভাঙ্গন হতেই থাকবে যা নিয়ে আমাদের বসবাস করতে হবে।

 

আমরা সবাই দোআ করি যেন আম্পান আমাদের দিকে না আসে। তারপর যদি আসে আমরা প্রস্তুত আছি যেন বেশ আকারে ক্ষয়ক্ষতি না হয়ে সীমিত আকারে হয়। আমাদের প্রকৌশলীরা যে যার এলাকায় রয়েছেন। জেলা প্রশাসকরা কাজ করে যাচ্ছেন।

 

উপকূলীয় এলাকার যে সব জায়গাতে বেরিবাধগুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সেসব জায়গার তালিকা প্রকৌশলীর কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে। নাজুক অবস্থায় থাকা বেরিবাধগুলো নিয়ে অনেক স্থানে কাজও করছেন প্রকৌশলীরা। আশাকরি বন্যা আসার আগেই আমরা বেরিবাধগুলো সংস্কার করতে পারবো।

 

এখন ঘূর্ণিঝড় আম্পান যে এলাকাতে আসবে, সেসব এলাকার লোকজনকে আমরা সাবধান করেছি এবং আমাদের প্রকৌশলীরা সেখানে কাজ করছেন।