#

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার আব্দুস সাত্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর দিতে আসা জমির মালিকদের কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শনিবার জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এই কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রকাশ পাওয়া তিনটি ভিডিওর একটিতে দেখা যায়, টেবিলের সামনে টাকা হাতে নিয়ে বসে থাকা সেবাগ্রহীতাকে তিনি বলছেন- ‘৯০০ টাকা দিলে হবে! না না হবে না, এভাবে। আশ্চর্য তো। গরিব মানুষও দিছে। আর আপনি তো মার্চেন্ট মানুষ। ৯০০ টাকা গুনে দিছেন, এটা কেমন কথা হলো!’

এ সময় কমিশনার অফিসের তদবিরে আসা আরেকটি কাজ প্রসঙ্গে তিনি আরেকজনকে বলছেন, ‘কমিশনার অফিস থেকে ফোন কেন? এই অফিসে লোক নাই। তাহলে তো সাত দিন আটকাতে হয়। তাহলেগা বুঝবে।’

দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, তার টেবিলের সামনে বসে থাকা অপর সেবাগ্রহীতাকে ৪ হাজার টাকার সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে বলছেন তিনি। তা না হলে তিনি খাজনার চেক না কাটার হুমকি দেন।

তৃতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, তহসিলদার আব্দুস সাত্তার একজন সেবাগ্রহীতাকে অফিসের বাইরে নিয়ে গিয়ে একটি গাছতলায় দাঁড়িয়ে কথা বলার ফাঁকে আড়াল করে কয়েক দফায় তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখছেন।

সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়- আব্দুস সাত্তার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ক্ষেত্রে দাখিলায় উল্লিখিত টাকার চেয়ের বেশি পরিমাণ টাকা অনৈতিকভাবে দাবি করেছেন। সরকার যেখানে ডিজিটালাইজডের মাধ্যমে হয়রানি ছাড়াই ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করছে, সেখানে তিনি জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন। এতে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি চাকরিতে বহাল থাকলে তদন্ত ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব খাটানোর আশংকা রয়েছে। তাই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বরখাস্তের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তহসিলদার আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি সরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এক মাস হলো যোগদান করেছি। আমি এখানে কাউকেই সেভাবে চিনি না। আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নিইনি। সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারেও কিছু জানি না।’

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন