প্রথমার্ধে আফগানিস্তানের আক্রমণ সামলাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ। যদিও গোল হজম করেনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ছিল ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে।
কিন্তু গোল শোধে মরিয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষাকৃত গোছানো ফুটবল খেলেছে। শেষভাগে এসে তো দেখার মতো বেশ কয়েকটি আক্রমণও করেছে। যার ফল এসেছে ৮৪ মিনিটের গোলে।
কাতারের জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়া ম্যাচটিতে তপু বর্মনের গোলে ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে বাংলাদেশ। তাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় পয়েন্টের দেখাও পেয়েছে।
শক্তিশালী আফগানদের বিপক্ষে শুরু থেকে রক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। যে কারণে আফগানরাও বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। তবে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা প্রথমার্ধে ভালোভাবেই ঠেকিয়ে রেখেছিলেন আফগানদের।
গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় সফলভাবে উৎড়ে গেছেন। ফলে প্রথমার্ধে ০-০ সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে সতীর্থের নিখুঁত ক্রস থেকে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করেন আফগানিস্তানের আমিরুদ্দিন মোহাম্মদ আনোয়ার শরীফি।
গোল শোধে মরিয়া বাংলাদেশ ৫৫ মিনিটের পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু আফগান রক্ষণকে আটকে যায় সে প্রচেষ্টাগুলো।
এরপর আফগানিস্তানের আক্রমণগুলোও দক্ষতার সঙ্গে আটকেছে বাংলাদেশের রক্ষণ। ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি পেয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু আবদুল্লাহর সামনে থেকে নেয়া জোড়ালো শট আটকে দেন আফগান গোলরক্ষক।
তবে ৮৪ মিনিটে আর আক্ষেপে পুড়তে হয়নি। রিয়াদুল হাসান রাফির হেড বক্সের একদম মাঝখানে পেয়ে চোখের পলকে চমৎকার ফিনিশিং গোল করেন তপু বর্মন।
সমতায় ফেরার পর বেশ কয়েকটি গোছানো আক্রমণ করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে তাই উত্তেজনাও ছিল পারদে। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা আর পাওয়া হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। ১-১ ড্রয়ের স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা।