ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের জায়গা হচ্ছে এইচপি ইউনিটে

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একের পর এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নানা রেকর্ড গড়ে চলেছেন তুষার ইমরান। মাঝ তিরিশে পা রাখা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সচল। ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান, সর্বাধিক সেঞ্চুরি আর হাফসেঞ্চুরির মালিক তুষার।

এছাড়া তিরিশে পা রাখা নাইম ইসলামও বেশ ভালো খেলেছেন। প্রিমিয়ার লিগের পাশাপাশি দেশের ক্রিকেটে নাইমের ব্যাটেও রানের ফলগুধারা। কিন্তু তারা দুজনই জাতীয় দলের বাইরে। একই কথা প্রযোজ্য বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস ও বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষেত্রেও। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম করেও জাতীয় দলে অবহেলিত তারা।

সীমিত ওভারের ফরম্যাটে না হলেও তাদের আবার টেস্টে সুযোগ দেয়া কিনা, তা নিয়ে সরব ক্রিকেট অনুরাগী মহল। অনেকেরই ধারণা ও বিশ্বাস ছিল বিসিএলে ব্যাট ও বল হাতে নজর কাড়া পারফরমারদের বিবেচনায় আনা হবে।

কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কথা শুনে মনে হচ্ছে- তুষার, নাইম, শাহরিয়ার নাফীস, রাজ্জাকসহ সিনিয়রদের মধ্যে যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালো খেলেছেন; তাদের কারোই হয়ত জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা হবে না।

জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা ব্যাট ও বল হাতে নজর কেড়েছেন, তাদের সরাসরি প্রাথমিক দলে ডাকার আগে আরও একবার পরখ করে নিতে চান নির্বাচকরা। তাই তাদের জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে ডাকার আগে ‘এ’ দল কিংবা এইচপি ইউনিটে অনুশীলন ও বিদেশি দলগুলোর সাথে আগে খেলানোর কথাই ভাবা হচ্ছে।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কথায় পরিষ্কার সেই আভাস। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠা তুষার ইমরান, নাইম ইসলামসহ আর যারা প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগ ও বিসিএলে ভাল খেলেছেন; তাদের কারো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রাথমিক দলে ডাক পাবার সম্ভাবনা খুব কম।

প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা মানে এই নয় যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভালো করবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার সামর্থ্যও বুঝতে হবে। সব দেশেই ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু ভালো খেলা খেলোয়াড় থাকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা সবাই ভালো খেলছে, এমন খেলোয়াড় কম থাকে। পারফর্ম করলে এখনই নিতে হবে, এমন কথা নেই। আগে ‘এ’ এবং এইচপি দল দেই, সেটা দেখেন। আগে এইচপি দেখেন, এই দলটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’