ঘরের মাঠেও ভাগ্য বদলালো না সিলেটের, ১৩০ করেই কুমিল্লার জয়

:
: ৫ মাস আগে

ঢাকাপর্বে দুই ম্যাচেই হার। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে চলে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। মনে হচ্ছিল, ঘরের মাঠে গ্যালারিভরা দর্শকের সামনে ভাগ্য বদলাবে। তারকাসর্বস্ব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে যে ১৩০ রানেই আটকে দিয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

কিন্তু নিজেদের ডেরায়ও জয়ের দেখা পেলো না সিলেট। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় কুমিল্লার কাছে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচে এটি কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়, তিন ম্যাচে সবকটিতেই হারলো সিলেট।

 

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অফস্পিনার আলিস আল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে ২৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্ত (৫), মোহাম্মদ মিঠুন (০), ইয়াসির আলি (১), বেন কাটিং (১), মাশরাফি বিন মর্তুজা (০)-দাঁড়াতে পারেননি কেউই।

জাকির হাসান কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩৪ বলে ৪১ রান করে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে তিনিও ফিরলে শেষ আশাটাও শেষ হয়ে যায় সিলেটের। ১৬.২ ওভারে ৭৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

 

আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। সমান ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট পান রস্টন চেজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট বোলারদের তোপের মুখে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানেই আটকে যায় কুমিল্লা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে কুমিল্লা। লিটন দাস আউট হন ৮ রান করে। পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান মাত্র ১৪ রান করেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি।

বরাবরের মতো ইমরুল কায়েসই প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় আউট হয়েছেন ৯ রান করে। ক্যারিবীয় রস্টন চেজ আউট হয়েছেন মাত্র ২ রান করে। জাকের আলি অনিক ২৭ বলে করেন ২৯ রান। খুশদিল শাহ ২২ বলে করেন ২১ রান।

বাকি ব্যাটাররা দুই অংকের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

মাশরাফি ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেটও পাননি। সামিত প্যাটেল নেন ৩ উইকেট। ২টি নেন রিচার্ড এনগারাভা। ১টি করে উইকেট নেন বেন কাটিং এবং তানজিম হাসান সাকিব।