অনলাইন ডেস্ক:

বরিশাল ১-আসন গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। উঠান বৈঠকের শুরুতে নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংস কায়দায় হত্যার মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার চক্রান্তের কথাও উল্লেখ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন জাতির পিতাকে হত্যার পর ৬ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমান দেশে ফিরতে দেয়নি। পরে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। দেশে ফিরে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারে এসে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়। পিছিয়ে দেওয়া হয় দেশকে। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দেয় বলে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ-দুর্ভিক্ষের দেশ নয়, উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে কারও কাছে আমাদের হাত পেতে চলতে হয় না। বাজেট বেড়েছে ৭ দশমিক ৬ ভাগ। ২০০৮ সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে দেখতে পায় বরিশাল শহরেই পানির অভাব, বিদ্যুৎ নাই, লোডশেডিং, রাস্তাঘাট নাই। ছিনতাই-জঙ্গিবাদতো ছিলই। সব কিছু কাটিয়ে উঠে বরিশাল নগরীকে আধুনিক বরিশাল নগরীতে রূপ দেয় আওয়ামীলীগ সরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজেদের ভাগ্যবদল নয়, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামীলীগের লক্ষ্য। আগে চিকিৎসার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ওই ঢাকায় যেতে হতো। আজকে বরিশালেই মিলছে আধুনিক চিকিৎসা সেবা।  আওয়ামী লীগ কেবল বিত্তশালীদের দিকে তাকায় না, নিম্নবিত্তের লোকজনের জীবনমান উন্নয়নের জন্যও কাজ করে। স্বল্প-নিম্ন আয়ের সব মানুষ যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সেজন্য ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছে, দিয়েছে বাড়ী।

ডিজিটালাইজেশনে সরকারের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রত্যেকের হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। বিএনপির একজন মন্ত্রী ছিলেন, মোবাইল ব্যবসা করতেন। তখন একটা মোবাইল ফোন কিনতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাগতো। কল করলেও ১০ টাকা, ধরলেও ১০ টাকা। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন, আওয়ামীলীগ সরকার এই সুযোগ করে দিয়েছে।
শিক্ষার হার বাড়াতে স্কুল-কলেজ করে দিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠানের মানও উন্নত করতে সরকার কাজ করছে।

এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের স্থান বাংলাদেশে নেই। আওয়ামীলীগ সরকার কঠোর হাতে জঙ্গিবাদ দমন করেছি। মাদক নির্মূলে অভিযান শুরু করেছি।
আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ গৌরনদী-আগৈলঝাড়াবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন, নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মা

নুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। জীবনমান উন্নত হয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে। বরিশালসহ সারাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, বেতন-ভাতা বেড়েছে সবার। আয়-রোজগারও বেড়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনসেবা করার সুযোগ দেওয়ায় ধন্যবাদ এ নেতারা।