মাদকাসক্তি একটি বহুমাতিৃক সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা ক্রমশঃ বিস্তৃত
হচ্ছে ব্যক্তি হতে পরিবার, পরিবার হতে সমাজে, সমাজ হতে রাষ্ট্র। যে যুব সমাজ দেশ ও
জাতির আগামী দিনের চালিকা শক্তি, তাদের একটি অংশ মাদকাশক্তির কবলে পড়ে নানা
ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে
আসছে। র্যাব এই পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ
জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ধারাবাহিকতায়, র্যাব-৮, বরিশাল এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ১৩
সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মাদক বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে যে,
গোপালগঞ্জ জেলার অর্ন্তগত গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন ঘোষের চর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ
লুৎফর রহমান চৌধুরী ওরফে টুটুল এর বাড়িতে কিছু লোক মাদক দ্রব্য ক্রয়/বিক্রয় করার
জন্য অপেক্ষা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর বিশেষ আভিযানিক দল গত ১৩
সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ রাত অনুমান ২২০০ ঘটিকার সময় বাড়ির সন্নিকটে পৌছলে
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক মোঃ লুৎফর রহমান চৌধুরী ওরফে টুটুল(৪০) ও
তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও আভিযানিক দল ঘেরাও পূর্বক (১) মোঃ মজিবর রহমান
চৌধুরী(৬৫), পিতাঃ মৃতঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী (২) মোসাঃ ফাতেমা আক্তার (৫৭),
স্বামীঃ মোঃ মজিবর রহমান চৌধুরী (৩) অনিন্দীতা রহমান টুম্পা (৩৫), স্বামীঃ মোঃ
লুৎফর রহমান চৌধুরী ওরফে টুটুল, পিতাঃ মোঃ রাজা মিয়া সর্ব সাং-ঘোষের চর, থানাঃ
গোপালগঞ্জ সদর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ (৪) কে এম রায়হান রিমন(২৪), পিতাঃ আব্দুল
মোতালেব খান, সাং- কবিরপুর, থানাঃ আশুলিয়া (সাভার), জেলাঃ ঢাকা’দের আটক করতে
সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকার কারনে (১) মোঃ মজিবর
রহমান চৌধুরী(৬৫) ও (২) মোসাঃ ফাতেমা আক্তার (৫৭) কে তাদের পরিবারের নিকট
মুচলেকার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারন এর উপস্থিতিতে ধৃত
আসামীদের বাড়ির ০৩টি রুমের ভেতর তল্লাশী করে (১) ১৪৪৮ বোতল ফেন্সিডিল (২)
০৫টি মোবাইল (৩) ০৩টি মাদক বিক্রির রেজিষ্টার (৪) মাদকের চালান বহন কাজে
ব্যবহৃত ০১টি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা মারফত তথ্য ছিল যে, গোপালগঞ্জ জেলার
গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন ঘোষের চর গ্রামস্থ মোঃ লুৎফর রহমান চৌধুরী ওরফে
টুটুল(৪০), পিতাঃ মোঃ মজিবর রহমান চৌধুরী ও তার সঙ্গে ৫/৭ জন সহযোগীরা
বিগত ৫-৭ বছর যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। উপরোল্লিখিত ধৃত আসামী (স্ত্রী ও
তার ভাগ্নে) তাকে মাদক বিক্রির কাজে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে বলে স্থানীয়
ভাবে জানা যায়। তারা দেশের বাহির থেকে মাদক এর চালান ক্রয় করে ফরিদপুর, বেনাপোল,
যশোর, মাদারীপুর, কোটালীপাড়া, টুঙ্গীপাড়া, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী,
রাজবাড়ী, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, গৌরনদী, টেকেরহাট, ঝিনাইদহ,
ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে
আসছে।এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।