লাইসোসোমাল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা উদ্ভাবনের জন্য এ বছর জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গোপালগঞ্জের ডা. আরিফ হোসেন।
গত ২৪ অক্টোবর ডা. আরিফ হোসেনকে জাপানিজ সোসাইটি অব ইনহেরিটেড মেটাবলিক ডিজঅর্ডারস সেরা জাপানিজ তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচন করে। সংগঠনটি প্রতিবছরই সেরা তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচিত করে আসছে। সংগঠনটির ৬১ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো বিদেশিকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করলো।
ডা. আরিফ হোসেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বরাশুর গ্রামের মৃত মো. ছবেদ আলীর ছেলে। ১১ ভাইবোনের মধ্যে ডা. আরিফ হোসেন সবার ছোট। তিনি কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সলে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৯৮ ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ওই মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি প্রথমে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি শিশু বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন। এরপর ডা. আরিফ হোসেন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি শিশু নিউরো-মেটাবলিক রোগে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপও করেন। নিউরো-মেটাবলিক রোগের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ওই রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাপানে সিনিয়র গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পুরস্কার পাওয়ার পর ডা. আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি অনেক আনন্দিত। এটা আমার ও বাংলাদেশের জন্য একটি অবিস্মরণীয় অর্জন।