গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয় লাভ করা মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদনের জন্য দেশটির কংগ্রেসের অধিবেশন বসে। সে সময় ট্রাম্প সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবনে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়।
এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের কালো দিন হিসেবে দেখছে দেশটির নেতারা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা বুধবার (আমেরিকার স্থানীয় সময়) যখন মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটলের বাইরে তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন, ভেতরে তখন ক্যাপিটলের সব প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় দরজার দিকে তাক করে বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন নিরাপত্তারক্ষীরা কারণ যে কোনো সময় দরজা ভেঙে ঢুকে পড়তে পারেন উগ্র সমর্থকরা। এই যখন অবস্থা, তখন শেষমেশ গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে নিরাপদ ঘরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় সিনেটরদের।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান সিনেটররা এখনও কার্যত পরাজয় মেনে নিতে নারাজ। আলোচনা, বিতর্ক, প্রশ্নোত্তর– এর মধ্যেই চলছে কটাক্ষ, টিকা-টিপ্পনি।
তার মধ্যেই বাইরে হই হট্টগোল। কয়েক হাজার জনতার চিৎকার। তাদের গতিমুখ ক্যাপিটল ভবন। ক্যাপিটলের নিরাপত্তারক্ষীরাও তাদের আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই গণ্ডগোলের খবর তখন পৌঁছে গেছে ভিতরেও।
সিনেটের মধ্যে তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই বাইরে কাঁদানে গ্যাসের মতো কিছু একটা ছোড়া হয় হামলাকারীদের আটকানোর জন্য। এবার ঘোষণা-‘সিটের নিচে রাখা গ্যাস মাস্ক পরে নিন সবাই’।
যে কোনো সময় যে কোনো দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে পারে বাইরের আতঙ্ক। গোড়ার দিকে যেটি ছিল কৌতূহলের বিষয়, সেটিই হয়ে দাঁড়াল বিভীষিকা।
শেষ পর্যন্ত আর ঝুঁকি নেননি ক্যাপিটলের নিরাপত্তা অফিসাররা। সিনেটরদের বললেন, সুড়ঙ্গ দিয়ে নিরাপদ কক্ষে পৌঁছে যেতে। সেভাবেই ফাঁকা করা হলো ক্যাপিটল।
হাউস সার্জেন্টকে কোনো এক নিরাপত্তা অফিসারকে নির্দেশ দিতে শোনা যায়, ক্যাপটলকে আমরা যেন নিরাপদ রাখতে পারি, সেটি নিশ্চিত করুন। সব মিলিয়ে এক নজিরবিহীন রুদ্ধশ্বাস নাটকীয় পরিস্থিতি দেখল আমেরিকার আইনসভা।