গোটা বরিশাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে

:
: ৬ years ago

পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে নারীর টানে বাড়ি ফেরা বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখো মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঈদ যাত্রা নিশ্চিত ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি লঞ্চের অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করা, প্রত্যেক লঞ্চে পর্যাপ্ত পরিমান আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া, সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালকে দালাল মুক্ত রাখা, টিকিট কালোবাজারীর হাত থেকে মুক্ত রাখা, লঞ্চ ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না করা, নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট কাউন্টার ও টার্মিনালগুলোতে লাগিয়ে দেয়া। যাত্রীদের জন্য টার্মিনালগুলোতে ছাউনি, পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা। নিরাপদে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নছিমনি-করিমন জাতীয় যানচলাচল নিষিদ্ধ করা। আন্তঃজেলার যানবাহন অন্য জেলা কিংবা মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রবেশ না করা। এ ছাড়া নগরবাসীর সার্বিক নিরপত্তা নিশ্চিত করতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা চালু রাখা এবং নিচ্ছিদ্র বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, চুরি-ছিনতাই, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ডরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা জোরদার করা।

পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিপুল পরিমান সদস্য মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। পুরো রজমান মাসকে ঘিরে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গত ১৮ মে থেকে মোট ৩৮০জন পুলিশ সদস্য কাজ করছে। আগামি ৫ জুন পর্যন্ত তারা কাজ করবে। এরপর ২০ রমজান থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত ৬১৬ জন পুলিশ সদস্য কাজ করবে। ঈদের পরের সাতদিন ৪৪৫ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা প্রদানের কাজে নিয়োজিত থাকবে। পুরো নগরীতে মোবাইল, চেকপোষ্ট, নারী পুলিশের টিমসহ ৬২টি টিম একত্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।

ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, যাত্রীরা যাতে কোন ধরনের ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার না হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যাত্রীবাহী পরিবহনে নারীরা যেন লাঞ্ছিত বা হয়রানির শিকার হয় সেজন্য পরিবহন মালিকদের আরও কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি অজ্ঞান-পার্টি ও প্রতারকচক্রের বিষয়ে যাত্রীদেরও সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, যেকোন সমস্যায় পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণ করুন।

বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম বলেন, মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য র‌্যাব সদস্যরা সবসময়ই মাঠে কাজ করছেন। তবে পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল ফিতরকে ঘিরে অতীতের চেয়ে র‌্যাব সদস্যদের টহল বৃদ্ধিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।

বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম’র বলেন, ইতোমধ্যে বিভাগের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও থানার ওসিদের ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে নারীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দিতে এবং মাদক নির্মূলের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।