গেইল পাঞ্জাবের কাছে টাকা পাওয়া করেছেন! নয় তো কী? পাঞ্জাব দলের কোচ বীরেন্দ্র শেবাগই তো বলেছিলেন, গেইল তাদেরকে দুই ম্যাচ জেতালেই খরচার টাকা উঠে যাবে। গেইল সেখানে তিন ম্যাচ মাঠে নেমে তিনটিই জিতিয়েছেন। মাঠে ভক্তদের যে বিনোদন দিলেন তার দাম তো এখনো বাকি!
আইপিএলে গেইলকে এবার পানির দামে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব। তার ভিত্তি মূল্যে কোন প্রতিযোগিতায় ছাড়াই কিংসা পেয়ে গেছে গেইলকে। সেই কারণেই কিনা প্রথম দুই ম্যাচ তাকে বসিয়ে রাখলো পাঞ্জাব। এরপর গেইল ছয় দিনের ব্যবধানে তুললেন তিনটি ঝড়। তার শেষটা কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। নাইটদের বোঝালেন কালবৈশাখি তো অনেক হলো এবার ‘ইরমা’ দেখা যাক। সেভাবেই শুরুটা করেন ব্যাটিং দানব। খেলেন ৩৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস।
প্রথমে টস জিতে পাঞ্জাব ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক কলকাত নাইট রাইডার্সকে। ক্রিস লিনের ৪১ বলে ৭৪ ও উত্থাপ্পার ২৩ বলে ৩৪ রানের সুবাদে বড় রানের দিকে এগুচ্ছিল কলকাতা। পরে কলকাতা অধিনায়ক দিনেশ কার্তিকের ২৮ বলে ৪৩ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ১৯৭ রান তোলে নাইটরা।
বড় রানের জবাবে দারুণ শুরু করেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল এবং কেএল রাহুল। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কিংসরা তুলে ফেলেছে ৯৬ রান। তাও আবার ৮.২ ওভারে। এরপর বৃষ্টি বাগড়া দেয়। বৃষ্টির কারণে কিংসদের ১৩ ওভারে ১২৫ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ ৪.৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান। সহজেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে পাঞ্জাব।
দলের ১১৬ রানের মাথায় ২৭ বলে ৬০ রান করে ফিরে যান কেএল রাহুল। আর গেইলের ৩৮ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৯ উইকেটের জয় পায় পাঞ্জাব। সমর্থকদের আফসোস বৃষ্টির কারণে গেইলের পুরো তান্ডব দেখা হলো না।
এর আগে প্রথম দিন গেইল পাঞ্জাবের মোহালি স্টেডিয়ামে চেন্নাইকে দেখিয়েছেন ১৯০ স্টাইক রেটের ঝড়। করেছেন ৩৩ বলে ৬৩ রান। এরপর সানরাইজার্সের বিপক্ষের ঝড়টা ১৬৫ স্টাইক রেটের। কিন্তু ওই ঝড়ের স্থায়িত্ত্ব ছিল বেশি। একেবারে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। তার ঝড়ে চুরমার হয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং রশিদ খানরা। করেন ৬৩ বলে ১০৪ রান। আর ইডেনের মাঠে গেইলের কালবৈশাখির গতি ছিল ১৬৩ স্টাইক রেটের।