গৃহবধূর চুল কেটে নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ঠাকুরগাঁওয়ে এক গৃহবধূকে মারধর করে তার চুল কেটে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ওই চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় রাইজিংবিডির কাছে নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করেন ওই গৃহবধু শহর বানু (৪০)। নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তোভোগীর স্বামী হাসান আলী।

 

স্বামী হাসান আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গত রোববার (১২ জুন) রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ফারুক ও রুবেলসহ কয়েকজন আমার স্ত্রীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপরিচিত বাসায় নিয়ে হিমু চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন এবং চেয়ারম্যান নিজে মাথার চুল কেটে দেন।’

হাসান আলী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে কাউকে বললে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। এরপর থেকে ৩ দিন তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বাসায় আটকে রাখেন।’

হাসান আলী আরও বলেন, ‘কী কারণে তারা আমার স্ত্রীকে মারধর করলেন,  তা জানি না। তারা বার বার ভয় দেখান। আজ আমার স্ত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমি এর বিচার চাই।’

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি৷ পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে চেয়ারম্যান হিমুর জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনা গৃহবধূর স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ারম্যানের বাসায় পুলিশ গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।