গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামীর দাবি আত্মহত্যা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-৬ এলাকায় একটি বাসায় জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তার স্ত্রী। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, বৈশাখীকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। স্বামী প্রায় মারধর করতেন বৈশাখীকে।

বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর আত্মীয়-স্বজনদের খবরে সি-ব্লকের ৯ নং সড়কের ৫/৬ বাসা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০/১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছেন। আর স্বামী মেহেদি হাসান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আইডিএলসি’তে চাকরি করছেন। তাদের দুজনেরই বাড়ি রাজশাহী বাঘার পানি কামড়া এলাকায়।

নিহতের দুলাভাই মাসুদ করিম রানা জাগো নিউজকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। পান থেকে চুন খসার মতো কিছু ঘটলেই স্বামী মেহেদি মারধর করতো বৈশাখীকে।

তিনি বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার আগেই আশুলিয়ার অফিস থেকে মিরপুরের ভাড়া বাসায় ফিরেছি। স্ত্রী বলছিলেন, বৈশাখীর মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিলেও ধরছে না, মেহেদিও ধরছে না। পরে বৈশাখীর স্বামীর বড় ভাইকে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনিই জানান বৈশাখী মারা গেছে। এরপর ছুটে যাই সেখানে। মেহেদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে না।

বৈশাখীর ভাই সৌরভ জানান, এটা আত্মহত্যা নয় বৈশাখীকে মার্ডার করা হয়েছে। ওর শরীরে আমি মারধরের দাগ দেখেছি, যা আগে দেখিনি। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে যেন বিচার করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা পল্লবী থানায় আছি। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।