চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নিমতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দীনের (৩৪) মরদেহ ভারতীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ফেরত দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ধোপাখালী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রেজাউল করিম, জীবননগর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদসহ ১০ জন এবং ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গেদে বিএসএফ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসি সৌরভ সামন্তসহ ১০ জন।
জানা যায়, গত বুধবার গভীর রাতে নাজিম উদ্দীনসহ ৭/৮ জন গরু ব্যবসায়ী নিমতলা সীমান্তের ৭৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে গরু আনার উদ্দেশ্যে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের গেদে বাগানপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্যরা পালিয়ে যায়। রাতেই বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে কৃষ্ণনগর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওইদিনই কৃষ্ণনগর হাসপাতালে তার মরদেহের ময়নতদন্ত সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজিম উদ্দীনের মরদেহ ফেরত চেয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি বিএসএফের কাছে চিঠি দেয়। এ ঘটনার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ।
ধোপাখালী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের মাধ্যমে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।