গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ইচ্ছে করে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী কিশোরীটিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর নাম ফাতেমা আক্তার রিমা। সে কাপাসিয়ার কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ার কপালেশ্বর এলাকায়।
বুধবার ঘটনার পর স্থানীয়দের ধাওয়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান সিংহশ্রী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বিজয় এবং তার এক সহযোগী।
এ ঘটনায় রিমার বাবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় বিজয় ও তার সহযোগী আমীর হামজার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার পর থেকেই তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
রিমার বাবা জানান, বিজয় দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে হয়রানি করে আসছিলেন বিজয়। এ নিয়ে বিচার দিলে তার মেয়েকে তুলে নেয়ার হুমকি দেন ছাত্রলীগ নেতা বিজয়।
বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রিমা হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা বিজয় ও তার সহযোগী আমীর হামজা রিমার ওপর মোটরসাইকেল তুলে দেয়। এ সময় তার পায়ের হাড় ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা রিমাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসক জানান, রিমার বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে হাড় ভেঙে গেছে।
পরে সেখান থেকে বুধবার দুপুরে তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হলে রাতেই অপারেশন করা হয়।
বিজয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করে কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাইয়ুম ভূইয়া জানান, ঘটনাটি আসলে কী আমরা সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখছি। দোষী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা নিয়েছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মাকসুদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় বখাটেরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’