গাজা হতে রকেট নিক্ষেপ প্রতিরোধের অংশ, বিবৃতি ভারতীয় বিশিষ্টজনদের

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের ‘প্রতিরোধেরই অংশ’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় লেখক, অভিনেতা ও বুদ্ধিজীবীদের একটি দল।

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায় এবং সাহিত্যিক নয়নতারা সেহগালের নেতৃত্বে তারা এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন।

সোমবার (১৭ মে) ভারতের ইংরেজি ভাষার দৈনিক দ্য হিন্দুর অনলাইনে এ খবর প্রকাশ হয়।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অরুন্ধতী-নয়নতারা ছাড়াও রয়েছেন ভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ, অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ, ঔপন্যাসিক গীতা হরিহরণ এবং অর্থনীতিবিদ প্রভাত পটনায়েক।

ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা এবং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলের অবৈধ চেষ্টার অভিযোগ তুলে এই বিশিষ্টজনেরা বিবৃতিতে বলেন, গাজায় সর্বশেষ লড়াইয়ের বর্ণনায় ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা ও প্রতিরোধের অধিকারকে যেন অগ্রাহ্য করা না হয়।

তারা বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে রকেট ছুড়েছে। এসব রকেটের কারণে সেই নৃশংসতা হয়নি, যা (ইসরায়েলের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়) পরে হয়েছে। দখলদারিত্বের প্রতিরোধের অংশ হিসেবে রকেটগুলো ছোড়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনসমর্থিত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সর্বশক্তি’ নিয়ে ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে শিশুসহ বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। ভারত এ সংঘাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘকে বলেছে, গাজা থেকে রকেট হামলা হয়েছে এলোপাতাড়ি এবং ইসরায়েল তার পাল্টা জবাব হিসেবে বোমা হামলা চালিয়েছে। এই ভাষা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যের চেয়ে খুব বেশি পার্থক্যের নয়।

ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় আরববিশ্বের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের কথাও বিবৃতিতে তুলে ধরেন ভারতীয় এ বিশিষ্টজনরা।

ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে গত ১০ মে থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১২ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে হামাসের রকেট ও মর্টার হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জন।