গলাচিপার তরুণরা বন্যার্তদের জন্য ৫৭ হাজার টাকা ইউএনও’র কাছে হস্তান্তর

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

পটুয়াখালীর গলাচিপার এক ঝাক তরুণ ছাত্রছাত্রীরা সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলে বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তারা ব্যাক্তি উদ্যোগে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টাকা উঠিয়ে ৫৭ হাজার টাকা সহায়তা হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুর ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমারের কাছে হস্তান্তর করেন।

 

‘অসম্ভবের অভিযানে এরা চলে, না চলেই ভীরু ভয়ে লুকায় অঞ্চলে! এরা অকারণ দুর্নিবার প্রাণের ঢেউ, তবু ছুটে চলে যদিও দেখেনি সাগর কেউ।’ লাইনগুলো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের।

দুঃসময়ে মানুষ যখন তাদের সবকিছু হারাচ্ছে, সিলেট যখন চলে গেল পানির নিচে, মানুষের মাঝে যখন চলে বাঁচার লড়াই, ঠিক তখন তারুণ্যকে দেখল বাংলাদেশ। সড়ক বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎ নেই, খাবার সঙ্কট, উদ্ধার কাজের জন্য নৌকা নেই।

ভয়াবহ এক পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতে তরুণ্য রূপ দেখল সারা দেশ। ‘গলাচিপা তারুণ্যের মানবতা’-র ব্যানারে তরুণরা অর্থ সংগ্রহ করে বানবাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫৭ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমারের হাতে তুলে দেন।

‘গলাচিপা তারুণ্যের মানবতা’-র সদস্য এ.এইচ আব্দুল্লাহ প্রত্যাশা, মিম্মান ইসলাম রাফি, জেমিন ইসলাম, আদিত্য দেবনাথ (উৎস্য), বর্ষণ কর্মকার, আরাফাত ইসলাম প্রান্ত, ইসমাইল ইসলাম দিহান, নিসরাত হাফসা, জহোরা খাতুন ছোঁয়া, ইসরাত জাহান ঐশী, জান্নাতুল ফেরদৌসী কেয়া, জামিলা জেরিন, নাইমা, লজিম, কিশোর, সিফাত, জিৎ বলেন, আমরা যখন সিলেটের মানুষের অবস্থা উপলব্ধি করলাম তখন আমরা ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য গলাচিপার বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে গেলাম তারা আমাদের দু’হাত ভরে দিয়েছেন।

যার কাছে গিয়েছি সবাই আমাদেরকে টাকা দিয়েছেন। আমরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছি যখন গলাচিপাবাসী আমাদেরকে বিভিন্নভাবে উৎসাহ ও সহায়তার জন্য সাহায্য করেছেন।

আমরা ৫৭ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি। যাতে তিনি বন্যার্তদের সহায়তা সরকারিভাবে টাকাগুলো দিতে পারেন। আমরা আমাদের সহায়তা কর্যক্রম আজকে সমাপ্ত করেছি। এ জন্য আমরা গর্বিত।