গভীর রাতে স্বামী ও শ্বশুরের এমন নিষ্ঠুরতা!

:
: ৬ years ago

যৌতুকের টাকা না পেয়ে তানজিনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের সান্তানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তানজিনা আক্তারের স্বামী ওমর সানি (২৫) ও শ্বশুর শিপন মিয়াকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। ওমর সানি সান্তানপাড়া গ্রামে অবস্থিত ক্যাপিটাল পেপার মিলের শ্রমিক।

তানজিনার মা রাবেয়া বেগম জানান, যৌতুকের টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তানজিনার ওপর নির্যাতন করত। নির্যাতনের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষায় তারা ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবারও ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এবার তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার রাতে তানজিনার স্বামী ওমর সানি, শ্বশুর শিপন মিয়া, শাশুড়ি শাহানাজ বেগম ও ওমর সানির ফুফু রুজিনা আক্তার তাকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে তানজিনা অজ্ঞান হয়ে গেলে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এসময় তানজিনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে তানজিনার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, দুই বছর আগে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ঘাগড়া গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারের সঙ্গে ডাঙ্গা ইউনিয়নের সান্তানপাড়া গ্রামের শিপন মিয়ার ছেলে ওমর সানির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই ব্যবসা করার জন্য টাকা দাবি করে তানজিনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।সংসার জীবনে ৯ মাসের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযুক্ত ওমর সানি ও শিপন মিয়াকে শুক্রবার ভোরে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত গৃহবধূর মা রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে তানজিনা আক্তারের স্বামী ও শ্বশুরসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে।