গবেষণায় বরাদ্দ কমিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ কমিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে বরাদ্দ বেড়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আয়ও বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। তবুও চলতি অর্থবছরের তুলনায় নতুন অর্থবছরের বাজেটে গবেষণায় ৩ লাখ টাকা কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের জন্য ৪৫ কোটি ৩ লাখ টাকার বাজেট পেশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। গত অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত বাজেট ছিল ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এবার বাজেটে ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইউজিসি বরাদ্দ দিয়েছিল ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আয় দেখানো হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে ইউসিজি থেকে বরাদ্দ বেশি এসেছে ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আয় বেশি আসবে ৩৭ লাখ টাকা।

ইউজিসির বরাদ্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়লেও গবেষণায় বরাদ্দ কমেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে গবেষণা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা । যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে ৩ লাখ টাকা কম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পবিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থ বছরে মূল বাজেটে গবেষণা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৫ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে তা ৫৩ লাখ টাকা দাঁড়ায়। ৬ মাস পরে যদি দেখা যায় আমরা এ খাতে বেশি ব্যয় করেছি, বেশি প্রজেক্ট দিতে পেরেছি তখন সংশোধিত বাজেটে তা বৃদ্ধি করা হবে।’

এছাড়া নতুন বাজেটে বেতন-ভাতাদি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। যেখানে ২০১৯-২০ সংশোধিত বাজেটে ব্যয় হয়েছিল ২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। পণ্য ও সেবা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যেখানে খরচ হয়েছিল ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। মূলধন অনুদান খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরে সেটা ৪৭ লাখ টাকা কমিয়ে ৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সামগ্রিক বিষয়ে অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, ‘আয়-ব্যয়ের হিসাবের ওপর সংশোধিত বাজেটে; মূল বাজেটের কমবেশি হতে পারে। এটা ছয়মাস পর পর রিভিউ হয়।’