প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ। এবারেও এসএসসি পরীক্ষাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত বছরের চেয়ে এবার আরো ভালো হয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে যেখানে মানবিক বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। এবার সেখানে ৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, সবার সার্বিক প্রচেষ্ঠায় এই সফলতা এসেছে।
দেশের অন্যতম সেরা এই বিদ্যালয় থেকে এ বছর এক হাজার ৬১২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৬১০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৪১ জন। গত বছর এক হাজার ৫৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৩৬৮ জন।
রোববার বেলা ১টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায় ফলপ্রত্যাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড়। বেলা ২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়। এরপরই সহপাঠীরা উচ্ছ্বাস, আনন্দে মেতে উঠে। নেচে গেয়ে নিজেদের সফলতাকে উৎযাপন করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাকরাও। দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা ঢোল-বাদ্য নিয়ে নেমে পড়ে মাঠে। বড় বোনদের ভালো ফলের আনন্দে তারাও শরীক হয়।
ইংরেজি মাধ্যমের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া নির্বাচিত পালের বাবা শ্যামল পাল বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের এ সময়ে তার সন্তানকে সৎ থাকতে বলেছেন। তার যতটুকু সক্ষমতা তাই নিয়েই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাই তিনি অনেক খুশি।
বিজ্ঞান থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া সামারা সাইদ খানের মা মুনমুন আহমেদ বলেন, তার মেয়ে প্রাথমিক, জেএসসিতে ভালো ফল করেছিল। এবারও সে সফল হয়েছে। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া মার্জান আহমেদের ইচ্ছে ব্যাংকার হওয়ার। ববসায়ী আনোরুল ইসলাম তার সন্তান মায়শা ইসলামের ফলাফলে খুশি। মানবিক বিভাগের আনিকা ইশরাত ইকরাও জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইকরা জানান, তার ইচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ার। তাই বিজ্ঞান ছেড়ে মানবিক বিভাগে ভর্তি হওয়া।