ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে নেতা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ না করে ইতোমধ্যে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতা করার নির্দেশ দিয়েছেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা। তাই ভোট গ্রহণ না করে দ্বিতীয় অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কমিটি চূড়ান্ত করতে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। এদিকে পদপ্রত্যাশী ও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সকাল থেকেই ভিড় করেছেন। মিছিলে মিছিলে মুখর করে রাখছেন সম্মেলনস্থল।
এর আগে সকালে সেখানে পৌঁছান ছাত্রলীগের সাবেক বেশ কয়েকজন নেতাও। যোগ্য নেতৃত্বের আশায় সবাই তাকিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
জানা গেছে, গতকাল প্রধানমন্ত্রী গণভবনে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের পরামর্শ নেন। তবে নিজের পছন্দ আছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা, তোমাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করো। কারণ ত্যাগ করতে শেখ। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে যাতে এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
বয়সের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স ২৭। কিন্তু বর্তমান কমিটি ইতোমধ্যে ৯ মাস অতিক্রম করে ফেলেছে। তাই আমি চাই কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। বয়স এক বছর গ্রেজ দিচ্ছি।
এদিকে গতরাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২৯তম সম্মেলনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন ২৮ বছরের বেশি বয়সের পদপ্রত্যাশীদের প্রার্থিতা বাতিল করে। আর বৈধ প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয় ৬৬ জন সভাপতি প্রার্থী আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৬৯ জনের প্রার্থিতা।