যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব বলেছেন, ‘গণভবনকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। সেই শহীদদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শহীদ পরিবারকে নিয়ে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা পুনর্বাসন কার্যক্রমও শুরু করেছি। অনেকগুলো এনজিওর সঙ্গে সরকারের মেলবন্ধনের মাধ্যমে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যাদের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
কিছুদিন ধরে শ্রম খাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। ক্যাবিনেটেও আলোচনা হয়েছে। আজকের (বৃহস্পতিবার) পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য একটা রিভিউ কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব দ্রুত এ কমিটি ঘোষণা করা হবে। যাতে শ্রমিকেরা তাঁদের সব দাবিদাওয়া নিয়ে যেতে পারে। রিভিউ কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করে যাবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটি যেহেতু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সরকার। তাই আমরা মনে করি বিচারের আগ পর্যন্ত, বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘গণভবন কখনোই আসলে—এর যে নাম ‘গণভবন’ তা হয়ে উঠতে পারেনি। যেহেতু এ দেশের ছাত্র-জনতা গণভবনকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জয় করেছে, তাই এটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে, শহীদদের স্মৃতি ও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়–অবিচার হয়েছে, সবগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। খুব দ্রুতই এটা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। গণভবন যে অবস্থায় আছে, জনগণ এটিকে যেভাবে অধিকার করেছে, বিজয় করেছে, ঠিক সেই অবস্থায় রাখা হবে। এর মধ্যে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করব। যাতে করে অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে।’