গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক: ফখরুল

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে ‘গণতন্ত্রের কফিনে’ শেষ পেরেক মারা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এভাবে বন্দি করে রাখার একটাই উদ্দেশ্য- গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে কবর দিয়ে দেওয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন।’

খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষোভের সঙ্গে বলছি- এই আদেশে সরকারের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন নিয়ে সরকার কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কৌশলটা হচ্ছে- জামিন স্থগিত করে দিয়েছে, জামিন নাকচ করেনি। এরপর লিভ টু হিয়ারিং হবে লিভ টু আপিলের। অর্থাৎ এভাবে ক্রমান্বয়ে যেতে থাকবে এবং তাকে (খালেদা জিয়া) আটকে রাখা হবে।’ সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষের অধিকার হরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তার দাবি, ‘খালেদা জিয়াকে এভাবে বন্দি করে রাখার একটাই উদ্দেশ্য, গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে কবর দিয়ে দেওয়া। গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি মারা হয়েছে আজ।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

নতুন কর্মসূচি: খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। দু’দিনের নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া আগামী ২৯ মার্চ আবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যদিও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে পারেনি তারা। মির্জা ফখরুল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, সোমবার জনসভা হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও পুলিশের কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করেননি। ২৯ মার্চ আবারও জনসভা ডাকা হয়েছে। অনুমতির জন্য আবারও পুলিশ ও সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।