খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠ, রাজনীতির মাঠ থেকে কারাগার, কলকাতা থেকে আগরতলা আর ছয় দফা থেকে স্বাধীনতা। এমন সব গল্পই মেলে ধরছে এবারে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। বাণিজ্য মেলার বিশেষ আকর্ষণ বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার নানা গল্প শোনাবে।
একই সঙ্গে ইউনেস্কো-কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে যে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেটাও বিশেষভাবে উপস্থাপনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবারের মেলায়।
মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। টেরাকোটা রঙে বাইরের দেয়াল সাজানো হয়েছে। তাতে কাপড়ে নকশা করা হয়েছে ৭ মার্চের ভাষণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই দিনের সমাবেশের নানা চিত্র। প্যাভিলিয়নের ছাদে বিশাল আকৃতির বঙ্গবন্ধুর ছবি, যেন স্বাধীনতার ডাক দিচ্ছে।
ভেতরে প্রদর্শন হয়েছে ২৬টি শিল্পকর্ম। এসব শিল্পকর্মে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রামের একজন খোকা কীভাবে রাজনীতির মাঠে আসলেন, রাজনীতির মাঠে কীভাবে জনপ্রিয়তা পেলেন, রাজনীতির মাঠে এসে খোকা শেখ মুজিব ‘বঙ্গবন্ধু’ হলেন- এরই সচিত্র ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের আরেকটি কক্ষে দেখানো হয়েছে নানা ডকুমেন্টারি, যা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানা ইতিহাস তুলে ধরেছে।
বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের বাইরের নকশা আর আলোকসজ্জার দায়িত্বে আছেন ঠাণ্ডু রায়হান। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের ভাষণের যে ইতিহাস চিত্রায়িত হয়েছে, তাই নকশায় তুলে আনা হয়েছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই তো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে আমরা বিশেষ কিছু দেয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানা দিক জানতে পারেন।
তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে এবার প্যাভিলিয়নের পরিসর বাড়ানো হয়েছে। ২৬টি চিত্রকর্মে বঙ্গবন্ধুর গোটা জীবনের রূপ তুলে ধরা হয়েছে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’র সমন্বয়ক মোর্শেদ জামান বলেন, এবার প্যাভিলিয়নে যে চিত্রকর্ম উপস্থাপন হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্লভও বটে। বাণিজ্য মেলা তো শুধু বেচা-কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ মেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন, ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতি প্রকাশ পায়। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এ মেলার সঙ্গে পরিচিত হন।
এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের ভিন্ন কিছু উপহার দিতেই আয়োজনে বৈচিত্রতা আনা হয়েছে- যোগ করেন তিনি।