খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় : চর কাউয়ায় মাঝি-মাল্লাদের জরিমানা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

করোনা ভাইরাসের অজুহাতে জেলার খেয়াঘাট গুলোতে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ইতিপূর্বে যেখানে ট্রলার বা খেয়া পারাপারে ২ টাকা ভাড়া ছিল সেখানে রাখা হচ্ছে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। কোন প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছেন তারা। ফলে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

তাই এসব ট্রলার বা খেয়াঘাটে অভিযানে নেমেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় সেখানকার কয়েকটি ট্রলার মালিককে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে জানানো হয়েছে, ‘চরকাউয়া খেয়াঘাটে নদী পারাপারের জন্য ট্রলার ভাড়া ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসনের একটি মোবাইল কোর্ট চরকাউয়া খেয়াঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি নির্ধারিত ভাড়া ২টাকার অধিক যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়া খেয়াঘাটেই নয়, বরং বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ-মুলাদীর মধ্যবর্তী মীরগঞ্জ খেয়াঘাট, দপদপিয়ার সাবেক ফেরিঘাট সংলগ্ন খেয়াঘাট, নগরীর বেলতলা খেয়াঘাট, চরমোনাই ট্রলারঘাট, চর আইচা খেয়াঘাটসহ জেলার প্রতিটি খেয়াঘাটেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
যাত্রীরা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরে প্রশাসনের নির্দেশে সীমিত যাত্রী নিয়ে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক ছিলো।

যাত্রী কম তোলার শর্তে ভাড়াও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বর্তমানে লকডাউন নেই, যাত্রীও সেই পূর্বের মতই বহন করা হচ্ছে ট্রলারগুলোতে। কিন্তু করোনাকালীন যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিলো তা আর কমেনি।

যাত্রীদের অভিযোগ করোনা পরবর্তী লকডাউন শিথিলের পরে প্রশাসন খেয়াঘাট গুলোতে দৃষ্টি দেয়নি। এ কারণেই প্রতিটি ঘাটেই যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়ায় আদায় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটে জেলা প্রশাসনের যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে তা জেলার প্রত্যেকটি খেয়াঘাটে অব্যাহত থাকলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে বলে আশাবাদী ভুক্তভোগীরা।