আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোন সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.)।
তিনি বলেন, তবে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি), র্যাব, স্ট্যাইকিং ফোর্স, ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাচনের দিন মাঠে থাকবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। একটি আইনানুগ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সবার কাছে যেটি গ্রহণযোগ্য হবে সেই নির্বাচন উপহার দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। কারণ দেশবাসীসহ সারা বিশ্ব এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
রোববার সকালে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১৮’ এর বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেন, রংপুরের সুষ্ঠু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত ফলপ্রসূ। সেই মডেলকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। কেসিসি নির্বাচনে আচরণবিধি ব্যতয়ের ক্ষেত্রে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে। কেসিসি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ১২টি অস্ত্র থাকবে। বিজিবি’র ১৬টি প্লাটুন থাকবে। আগামী ১৩ মে থেকে বিজিবি মাঠে নামবে এবং প্রতিটি বিজিবি টিমের সঙ্গে ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন যার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছে। ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া এবং ভোট গণনা সঠিকভাবে হওয়ার বিষয়ে নজরদারি থাকবে নির্বাচন কমিশনের। ভোটাররা যাকে নির্বাচিত করবে তিনিই মেয়র হবেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ২০১১ সালে ইভিএম’এর যাত্রা শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে সব স্থানে এটা করা হবে। কেসিসিতে নূন্যতম একটি কেন্দ্র বা একটি ওয়ার্ডে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনই সিদ্ধান্ত হয়নি কোথায় সেটি ব্যবহার হবে।
সিসি ক্যামেরা নিয়ে তিনি বলেন, কেসিসি নির্বাচনে সীমিত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশন পিছপা হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মেদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, র্যাব-৬’এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, পুলিশ সুপার মোঃ নিজামুল হক মোল্যা প্রমুখ।