হঠাৎ আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন। মুহূর্তেই ঘনকালো মেঘ থেকে অঝোরো বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে বজ্রপাত। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে খুলনায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক বিদ্যুৎ চমকানোসহ বজ্রপাত। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষজন। ভারি বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে খুলনার অধিকাংশ এলাকা।
সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত থাকায় যান চলাচলও কমে গেছে নগরীতে। হঠ্যাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরজীবনে ছন্দপতন ঘটে। বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন নগরবাসী। বৃষ্টি চালাকালে বিদ্যুৎ ছিলো না অধিকাংশ এলাকায়।
এদিকে অবিরাম বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে খুলনার অনেক সড়ক। বিশেষ করে খুলনা মহানগরীর রয়্যালের মোড়, বাইতিপাড়া, তালতলা, শান্তিধাম মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, সাতরাস্তার মোড়, আহসান আহমেদ রোড, শামসুর রহমান রোড, ছোট মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবুখান রোডে পানি জমেছে। এতে পথচারী, শিক্ষার্থী ও অফিস ফেরত লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েন।
শান্তিধাম মোড়ের বাসিন্দা অধ্যাপক ইব্রাহীম বলেন, ভয়ঙ্কর বজ্রপাতের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ।
মহানগরীর ময়লাপোতার মোড়ের ইউনি ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল হোসাইন বলেন, এতো বেশি বজ্রবৃষ্টি এই জীবনে প্রথম দেখছি। আল্লাহ রক্ষা করুন।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত বেড়ে যাচ্ছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এ বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্র বন্দরের জন্য কোনো সংকেত নেই। নদী বন্দরের জন্য এক নম্বর সংকেত রয়েছে।