খুলনায় মায়ের সম্পত্তি দেখতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

:
: ১ বছর আগে

মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা সম্পত্তি দেখতে খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে তিনি সড়কপথে খুলনায় আসবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনার জেলা প্রশাসক ইয়াসির আরেফিন।

জেলা প্রশাসক বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি আগামীকাল শুক্রবার জুমার পর আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জ থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা করবেন। বিকেল নাগাদ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় অবস্থিত নগরঘাট এলাকায় তার মায়ের নামে কেনা সম্পত্তি নিদর্শন করবেন। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিল। জমির ওপর পাট গোডাউন ছিল।

প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন। ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা জমি পরিদর্শন করবেন।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।

 

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর রাষ্ট্রীয় নয়। সেই কারণে তার সঙ্গে দলের নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ হবে কি-না এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা দেখা করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট বাড়িসহ ৪ বিঘা জমি কেনেন। তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন।

 

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধুর সন্তানেরা মালিক হলেও শেখ হাসিনা জমিটির কথা জানতেন না। ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।