খালেদা নির্বাচনে থাকবেন : সিইসির আশা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা

সব সমস্যা কাটিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের খাসকামড়ায় তার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের নিজের এ আশার কথা জানান তিনি।

৮ ফেব্রুয়ার দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না- তা নিয়ে নানা মত রয়েছে।

সিইসি বলেন, আমি আশা করি সব সমস্যার সমাধান হলে তিনি (খালেদা) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং না করা সম্পূর্ণ উচ্চ আদালতের ওপর নির্ভর করছে।

৮ ফেব্রুয়ারি যে মামলায় খালেদার সাজা হয়েছে, ওই মামলাতে সাজা হয়েছে তার ছেলে তারেকেরও। খালেদা কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক।

বিএনপি বলছে, খালেদা-তারেক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না তারা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের মনে করেন- মামলার কারণে আদালতের সিদ্ধান্তে বেগম খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন তাহলেও তার দল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

নুরুল হুদা বলেন, খালেদা জিয়া এখন যে অবস্থায় আছেন, তাতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত যদি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে আমি প্রত্যাশা করি, সব বাধা কাটিয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

এর আগে বেলা ২টার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় আসেন কমিশনার। বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সেখানে বেরিয়ে যান তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যেহেতু আপিল করেনি তার মানে অভিযুক্ত অবস্থায় আছে। সুতরাং এ অবস্থায় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তারপরে উচ্চ আদালতে গেলে কি রকম ডিরেকশন আসে, তার উপরে নির্ভর করে আমাদের সিদ্ধান্ত হবে।

‘তিনি যদি আপিল করেন এবং আদালত যদি তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন তবে সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।’

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ-এ বিষয় জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রধান বিচারপতি সংবিধানের প্রথম স্থানের একজন লোক। সে হিসেবে উনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলাম।

তিনি বলেন, আমি অনেক আগেই ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতাম। কিন্তু তাকে নিয়োগ দেয়ার পর তিনি খুব ব্যস্ত থাকায় আজ দেখা করতে আসলাম। ওনার সঙ্গে ‘সাক্ষাতের সময় আমরা বলেছি যে, নির্বাচনের সময় আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাই, সহমর্মীতা পাই। এছাড়া আর কোনো ইস্যু ছিল না।

নির্বাচন কমিশনের অনেক মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন, এসব মামলার বিবাদী হিসেবে আপনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেন কিনা -এর উত্তরে সিইসি বলেন, না না, এখানে এসে দেখা করা যায় না। কিন্তু এটাতো তার চেম্বার। মামলা-মোকদ্দমা যেগুলো আমরা ফেস করি সেগুলোতো কোর্টের মাধ্যমে হয়, আমাদের আইনজীবী আছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আমরা দেই, তার উপরে হয়।