আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির একমাত্র পথ আইনি লড়াই। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কোথায় হবে, তা নির্ধারণ করবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা; বিএনপি নেতারা নন।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের চুক্তি সই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়ার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার জেলে রাখছে না; রেখেছেন আদালত। তারা আদালতে লড়াই করুক। বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার জন্য যে আন্দোলনের কথা বলছেন, তাতে কেউ সাড়া দেবে না। আন্দোলন নয়; দেশবাসীর মনোযোগ নির্বাচনে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি। কারাগারে অসুস্থ বিএনপি নেত্রীকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এ দাবির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তার চিকিৎসায় সরকার কোনো গাফিলতি করবে না। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খানরা চিকিৎসাশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ নন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তা স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখবে। মেডিকেল বোর্ডও রয়েছে।
বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, খালেদা জিয়ার চোখ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা এ দাবি করছেন তারা দলীয় চিকিৎসক। বিএনপি নেত্রী কারাবন্দি। তার চিকিৎসা কোথায় হবে, তার দাবি জানানো ঠিক নয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এক সময় কারাবন্দি ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ দাবি জানায়নি- অমুক হাসপাতালে তার চিকিৎসা করাতে হবে।