জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
দুদকের পক্ষে শুনানি শুরু করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং খালেদার পক্ষে মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
এতিমদের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিলের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর গত ১৯ মার্চ স্থগিতাদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষ, দুদক ও আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইদিন আদালত আপিল শুনানির জন্য ৮ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের মঙ্গলবার দৈনন্দিন কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য ৯ নম্বরে রাখা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এ মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর ওইদিনই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরদিন ৪৪ যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। পাশাপাশি আপিলে খালেদা জিয়ার জামিন এবং তার জরিমানা স্থগিত ও দণ্ড বাতিল চাওয়া হয়।
গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সমকালকে বলেন, আশা করছি শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, আপিল শুনানি শেষে জানা যাবে, আদালত তাকে জামিন দেবেন কি-না।