বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবী নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে পেশাজীবী নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে পৃথক পৃথক কর্মসূচি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এক পেশাজীবী নেতা জানান, বিএনপি সমর্থিত ১০টি পেশাজীবী সংগঠন রয়েছে। তারা পৃথকভাবে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে। আবার সব পেশাজীবীরা একত্রে দেওয়া যায় কি না তাও চিন্তা-ভাবনা চলছে।
জানা যায়, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মির্জা ফখরুল বলেন, সব কর্মসূচিই হবে শান্তিপূর্ণ। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগেও বলে গেছেন, কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। একই কথা বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। সুতরাং আপনারা ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে যার যার সমর্থ্য অনুযায়ী মাঠে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সদরল আমিন, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, অধ্যাপক তাজমেরী এ ইসলাম, ফিরোজা খাতুন, আখতার হোসেন খান, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, চিকিৎসক আবুল কায়েস ভুঁইয়া, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান মিয়া, একেএম আজিজুল হক, আবদুল কুদ্দুস, ফরহাদ হালিম ডোনার, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, জাহানারা বেগম, প্রকৌশলী আনহ আখতার হোসেইন, আবদুল হালিম, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ ইবরাহিম মিয়া, আনোয়ার উন নবী মজুমদার বাবলা, শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, রহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাকের হোসাইন, কাদের গনি চৌধুরী, ইলিয়াস খান, কণ্ঠ শিল্পী মনির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।