খাদ্যে ভেজালকারীর মৃত্যুদণ্ডের আইন করা দরকার: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

:
: ১ বছর আগে

ভেজাল খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও ওজনে কম দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পবিত্র রমজানসহ বছরজুড়ে বিএসটিআই ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিএসটিআই-এর এ অভিযান তৃণমূল পর্যায়েও পরিচালনা করতে হবে। বিএসটিআই তার কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের উচিত বিএসটিআইকে এ কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা।’

 

শনিবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালযয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ভেজাল ও নকল পণ্য উৎপাদন, বিক্রিতে জড়িত ব্যবসায়ীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘সব ব্যবসায়ীরা নকল ও ভেজালের সঙ্গে যুক্ত নন। অনেক ভালো ব্যবসায়ী আছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বাজারজাত করে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের সুনাম বাড়াচ্ছেন। কিছু নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা এই হীন কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের উচিত তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যবসায়ী সমাজ থেকে বাদ দেওয়া।’

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি পণ্য যেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয়, আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিএসটিআই সফলভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’ এ সময় নকল ও ভেজালরোধে তিনি সরাসরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই’র অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

 

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই’র সভাপতি জসিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ নাজমুল হক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি দিলীপ রায় প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক আবদুস সাত্তার।

শিল্পসচিব বলেন, নকল ও ভোজালরোধে যে আইন রয়েছে, তার কঠোর প্রয়োগ হলে নকল ও ভেজাল অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সম্পদ ও জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকার পরও সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার মানসিতা নিয়ে কাজ করে গেলে কোনো কিছু কঠিন নয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, খাদ্যে ভেজাল সম্ভবত বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তিনি ভেজাল ও নকল প্রতিরোধে বিএসটিআই-এর সক্ষমতা ও নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সংশোধনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।