খরচ বাঁচাতে ৮ জোড়া প্যান্ট ও ১০ জামা পরে বিমানবন্দরে যুবক

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বিমানে লাগেজ বা মালপত্রের জন্য অতিরিক্ত দাম অনেক সময়েই দিতে হয়। অনেক লো কস্ট এয়ারলাইন্সই বিমানে বিমান পয়সায় লাগেজ চেক-ইন করতে দেয় না।

অনেক ক্ষেত্রে আবার অতিরিক্ত লাগেজ হয়ে গেলেও বেশি দাম গুণতে হয় যাত্রীদের। আর এই খরচ থেকে বাঁচার কোনও উপায়ও নেই। কারণ যদি বিমানবন্দরে চেক ইন কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে দেখা যায় যে আপনার লাগেজ অতিরিক্ত রয়েছে, তখন অতিরিক্ত দাম না দিয়ে আর আপনি যাবেনই বা কী করে বলুন। কিন্তু ব্রিটিশ এক যুবক এই খরচ থেকে বাঁচার এক উপায় বের করেছিলেন। যদিও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না।

রায়ান কার্নি উইলিয়ামস। আইসল্যান্ড থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে কেলভিক বিমানবন্দরে মালপত্রের খরচ যাতে আর না দিতে হয়, তার জন্য আট জোড়া প্যান্ট এবং ১০টি জামা পড়ে পরে বিমানে চড়তে যান তিনি। কিন্তু কেলভিক বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা চোখ এড়াতে পারেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই রায়ানকে বাধা দেওয়া হয় এবং এটা যে নিয়ম বিরোধী তা জানানো হয় তাকে।

রায়ান অবশ্য পরে নিজের টুইটার অ্যাকউন্টে অন্য কথা লেখেন। তার পোস্ট, আমার কাছে কোনও লাগেজ ছিল না। আমি আমার সমস্ত পোশাক পরে বিমানে উঠতে যাই, কিন্তু আমায় উঠতে দেওয়া হয়নি। আমি বর্ণবৈষম্যের শিকার।

শুধু তাই নয়, তিনি যখন দ্বিতীয় দিনেও বিমানে উঠতে যান তখনও তাকে বাধা দেওয়া হয়। তিনি আবার টুইট করে লেখেন, আবার! দ্বিতীয় দিনেও আমায় বিমানে উঠতে দেওয়া হল না।

তবে বিমান সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়, রায়ানের ব্যবহার একেবারেই ভালো ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমরা তাই পুলিশ ডাকতে বাধ্য হই। বর্ণবৈষম্যের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অতিরিক্ত ব্যাগেজের ভাড়া মাত্র ৪৭ পাউন্ড। সামান্য এই টাকার জন্য কেউ এমন করবে, তা ভাবাও যায় না।

শেষ পর্যন্ত আর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে চড়া হয়নি রায়ানের। নরওয়েজিয়ান এয়ারের অন্য একটি বিমানে চড়ে আয়ারল্যান্ড থেকে লন্ডন পৌঁছান তিনি।