বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার পর নতুন মোড় নিচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ৩২ দলের হাইভোল্টেজ গ্রুপপর্বের পর ছাঁটাই হয়ে এবার শুরু হচ্ছে আসল যুদ্ধ— নকআউট রাউন্ড। গ্রুপপর্বের চমক ও অঘটনের ভিড় পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ১৬টি দল। শুরু হতে যাচ্ছে শেষ ষোলোয় হাইভোল্টেজ লড়াই, যেখানে একটিমাত্র ভুল মানেই বিদায়।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর দাপট ছিল এই বিশ্বকাপে চোখে পড়ার মতো। বোতাফোগো, পালমেইরাস, ফ্লামেঙ্গো ও ফ্লুমিনেন্স— সবাই গ্রুপ থেকে টিকিট কেটেছে শেষ ষোলোয়। বিপরীতে চরম হতাশ করেছে আর্জেন্টিনা। ঐতিহ্যবাহী বোকা জুনিয়র্স ও রিভার প্লেট বিদায় নিয়েছে শুরুতেই, যা তাদের সমর্থকদের জন্য বড় ধাক্কা।
তবে আলো ছড়াচ্ছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। নতুন ক্লাব হলেও মেসির উপস্থিতি যেন দলকে ভরসা দিয়েছে শেষ ষোলোতে পা রাখার। অন্যদিকে ইউরোপীয় পরাশক্তিদের মধ্যে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা ও পিএসজি। এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছে সৌদি আরবের আল হিলাল এবং উত্তর আমেরিকার হয়ে আছে মেক্সিকোর ক্লাব মন্তেরে।
নকআউট রাউন্ড শুরু হচ্ছে ২৮ জুন, রাত ১০টায়— একেবারে ব্রাজিলিয়ান দ্বৈরথ দিয়ে। যেখানে মুখোমুখি হবে বোতাফোগো ও পালমেইরাস।
একই রাতেই ২টায় মাঠে নামবে চেলসি ও বেনফিকা।
২৯ জুন আবার উত্তেজনার কেন্দ্রে থাকছে পিএসজি বনাম মেসির ইন্টার মায়ামি ম্যাচ, যা বিশ্বজুড়ে কোটি ভক্তের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে।
পরের দিন, ৩০ জুন রাত ২টায়, ফ্লামেঙ্গোর মুখোমুখি হবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ।
আর ১ জুলাই শুরুতেই রয়েছে মহা দ্বৈরথ—ইন্টার মিলান বনাম ফ্লুমিনেন্স।
ওই দিনই সকালে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি ও আল হিলাল।
কিন্তু সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ হতে যাচ্ছে ১ জুলাই রাত ১টায়, যেখানে ইউরোপীয় ক্লাসিক লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস।
শেষ ম্যাচটি হবে ২ জুলাই সকাল ৭টায়, যেখানে মুখোমুখি হবে মেক্সিকোর মন্তেরে ও জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
ক্লাব বিশ্বকাপের উত্তেজনা এখন চূড়ায়, যেখানে প্রতিটি ম্যাচ মানে হয় এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ, না হয় স্বপ্নভঙ্গের কান্না। এখন দেখার পালা—এই ‘সেরা ১৬’-এর মঞ্চ থেকে কে পৌঁছাবে ফুটবলের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের আরও এক ধাপ কাছে।