মোরশেদ আলম, যশোর প্রতিনিধি:: যশোরে এবার ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেনি কোরবানীর পশুর হাট অধিকাংশ পশু হাট গুলি। এবারের কোরবানীর ঈদে পশু কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েনি। যশোর কেশবপুর ও সরসকাটি পশুর হাট সহ উজেলার সাতবাড়িয়া, চিংড়া, বগা,ভান্ডা খোলা বাজার সহ মোট ছয়টি পশুর হাট বসেছে।
সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা গেছে যতেষ্ট পরিমাণে দেশী গরু বাজারে রয়েছে দুই একটি পশু হাটে ভারতীয় গরু দেখা গেলেও উপজেলা সদরের হাটে ব্যতিক্রম দৃশ্য চোখে পড়ে, এখানে শুধু দেশীয় খামারে পালিত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার পরিপূর্ণ্য হয়ে গেছে । সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যান্ত বিক্রেতাদের জম জমাট ভিড় দেখলেও নেই ক্রেতা ।
কেশবপুর উপজেলার সদরে পশু হাট মালিক ইকবাল হোসেন তোতা বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার প্রচুর পরিমণে দেশী গরু ও ছাগল ও মহিষ ভেড়া আমদানি হয়েছে কিন্তুু অতিরিক্ত বৃষ্টি ও করোনার কারণে ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না এবং বিক্রিও নেই বললেই চলে। কেশবপুরের পশু হাট অনেক প্রাচিন একটি হাট এটি যশোর সাতক্ষীরা সহ দক্ষিন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পশু হাট হিসাবে পরিচিত। এই বাজারে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন থাকা সহ বাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিথি যতেষ্ঠ ভাল থাকায় দুরদুরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা আসতেন এবং নির্ভয়ে পশু বেচাকেনা করতেন। এক বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায় গ্রামগঞ্জের মানুষ শেষ মুহূেত্ত পর্যন্ত কেনাকাটা করে থাকেন তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে চান যদি বাজার ভাল হয় সে আশায়।
তবে দিন যত ঘনিয়ে আসবে বেশী পশু বিক্রি হওয়া এবং বাজার আরো জমজমাট হওয়ার আশা করছেন ক্রেতা- বিক্রেতারা।
কেশবপুর উপজেলা পাঁজিয়া থেকে আসা গরুর ব্যবসায়ি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে ভারতীয় গরু না থাকায় এবার দেশী গরুর বিক্রি বেড়েছে তবে যদি করোনা না থাকত তাহলে আরো বেশি বেশি গরু বিক্রি হওয়ায় সম্ভাবনা থাকত তবে এবার আমাদের লাভের চেয়ে লচের পরিমান বেশি হবে বলে মনে হয়।
কোরবানীর পশু কিনতে আসা অনেকের সাথে আলাপকালে তারা জানান, ভারতীয় গরু না আসার অজুহাতে দেশী গরুর আকাশ চুম্বি দাম হাকাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজ এলাকা মনিরামপুর পশুর দাম বেশী হওয়ায় কেশবপুর হাটে এসেছি কিন্তু এখানেও দেখছি অনেক দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। এখানে দাম একটু বেশী হলেও অসংখ্য পশুর মধ্যে থেকে তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দ সহ পশুটি কিনতে পেরে খুশি তারা।
অনেক ক্রেতা বলেন, যদি আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে কেনাকাটা করা যাবে কিন্তুু যদি আবহাওয়া আবার খারাপ হয় তাহলে ক্রেতাদের কেনাকাটা করতে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। যশোরের অধিকাংশ পশু হাট গুলিতে প্রায় একই রুপ চিএ দেখা যাচ্চে