বনানীর সামরিক কবরস্থানে ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানকে দাফন করা হবে। পারিবারিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার নিহত ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের উত্তরার বাসভবনে গেলে তার ভাই খুরশীদ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আমার ভাইকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকার এবং ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের কাছে এখন একটাই দাবি যেন মরদেহ দ্রুত পৌঁছে দেয়া হয়।
নিহতের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার ভাই অনেক মিশুক ছিলেন। সে সবার সঙ্গে সহজেই মিশতে পারতেন। তার চাকরি প্রসঙ্গে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়গুলো আমাদের জানা নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এটি তার অফিসিয়াল বিষয়। আমাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কখনও তিনি শেয়ার করতেন না।
খুরশীদ মাহমুদ বলেন, শুধু আমার ভাই নয়, সেখানে নিহত সব যাত্রী ও ক্রুদের ক্ষতিপূরণ যেন সঠিক সময়ে দেয়া হয়। আমরা এর বেশি কিছু আর চাই না।
উল্লেখ্য, নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট আবিদ সুলতান মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইউএস-বাংলার জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সৈয়দপুরে দুর্ঘটনায় যে এয়ারক্রাফট ছিল, এটা সেই এয়ারক্রাফট নয়। এর আগেও নেপালের এ এয়ারপোর্টে ৭০টি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের যে অডিও পাওয়া গেছে, সেখানে কন্ট্রোল টাওয়ারের কিছু মিস গাইডেন্সের তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি এ ঘটনায় ক্যাপ্টেনের কোনো দোষ ছিল না। কারণ তার ৭০০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা এবং এ এয়ারপোর্টে শতাধিক ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের নজির আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাইলটকে জোরপূর্বক ডিউটিতে পাঠানোর যে অভিযোগ এসেছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, একজন পাইলট চাইলে টেক অফ করার ঠিক আগ মুহূর্তেও যদি নিজেকে ঠিক মনে না করেন তবে তিনি স্বেচ্ছায় বিমান থেকে নেমে যেতে পারেন। কর্তৃপক্ষের কোনো অধিকার নেই জোরপূর্বক ফ্লাইট পরিচালনা করার। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি, কিন্তু সঠিক তথ্য পেতে আমাদের একটু সময় দিতে হবে। প্রশাসনিক লোকজন কাঠমান্ডুতে রয়েছেন, তারা যাচাই-বাছাই শেষে যে তথ্য পাঠাবেন তা জানানো হবে।