ক্যানবেরায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ককে স্মরণ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সালমান রহমান, কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরায় পালিত হয়। করোনা মোকাবিলায় ক্যানবেরায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে  অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারসহ সেদেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ জাতির পিতার কিংবদন্তী নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তারা তাঁর প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।  জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
 আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শোকাহতচিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। পূর্ব বাংলার জনগণের হাজার বছরের চলমান জাতিস্বত্তার বিকাশ তাঁর নেতৃত্বেই আসম্প্রদায়িক ভাষা সংস্কৃতিভিত্তিক জাতি স্বত্তা হিসেবে প্রস্ফুটিত হয়। বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ধারণ করার বাইরে এ জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র  উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য নেতা হিসেবে অর্বিভূতহন, আর তাই তিনি সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব বিধায়, এ লক্ষ্য হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
এর পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনএবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।