কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের অন্তরায়,নিজেদের মধ্য থেকেই নিয়োগ চান জবি শিক্ষক সমিতি

লেখক:
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

জবি প্রতিনিধি:: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত অধ্যাপকগণের দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়ে ডা. দীপু মনি বরাবর ৩১ অক্টোবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি(জবিশিস)।
উক্ত স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বর্তমান উপাচার্য এবং ট্রেজারারের মেয়াদ শেষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য এবং ট্রেজারার নিয়োগ প্রদান করার জন্য শিক্ষকবৃন্দ ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন।এ লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত অধ্যাপকগণের নামের একটি তালিকা এবং সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত শিক্ষামন্ত্রীর সদয় বিবেচনার জন্য সংযুক্ত করা হয়।
জবিতে বর্তমানে গ্রেড-১ পদে ৩৬ জন, গ্রেড-২ পদে ৪৬ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৭৪ জন মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৬ জন অধ্যাপক আছেন। এর মধ্য থেকে দুইজন অধ্যাপককে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে এবং দুইজন অধ্যাপককে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ছাড়াও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমান দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নিজ শিক্ষকদেরই যোগ্যতা আছে বলে মনে করেন তারা।নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে নিয়োগ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা কখনোই সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে কাজ করেন না।তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত থাকেন।যার ফলে দেশের প্রথম সারির একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ায় পরও অবকাঠামোগত একটি কলেজের আকারেরই রয়ে গেছে।
এদিকে আবাসন সংকট কাটাতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথের নতুন ক্যাম্পাস অনুমোদন হয় মন্ত্রিসভায়।এখন ২০২৩ সাল,কেটে গেছে আরো ৭ টি‌ বছর। কিন্তু নতন ক্যাম্পাসের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পরিচালনার জন্য সক্ষম ও যোগ্য।