কোরআনের বিশাল এবং ঐশ্বরিক জ্ঞানের মধ্যে আমি তৃপ্তি এবং শান্তি খুঁজে পেয়েছি। সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে জানালেন দঙ্গল ছবিতে খ্যাতি পাওয়া বলিউড অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান, তাঁর গুণাবলী, তাঁর করুণা এবং তাঁর আদেশের জ্ঞান অর্জনে তার হৃদয় শান্তি পায়।
নিজের ঈমান বাঁচাতে সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন দঙ্গলকন্যা খ্যাত অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। ছবি-সংগৃহিত। জায়রা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এমনটাই জানালেন। পুরো পোস্টটাই তিনি লিখেছেন ইংরেজীতে।
লিখেছেন এতদিন নিজের বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা করে কী ভাবে সৃষ্টিকর্তা দ্বারা সৃষ্টির প্রকৃত উদ্দেশ্য ভুলে নিজের জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বদলে আল্লাহ-র উপরেই যে ভীষণ ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন জায়রা ওয়াসিম সেই কথাও লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, সাফল্য, খ্যাতি, সম্পদ যে পর্যায়ে পৌঁছে যাক না কেন, তাতে যেন কখনও শান্তি এবং নিজের বিশ্বাস না হারিয়ে যায়।
জায়রা ওয়াসিম এর ইনস্টগ্রাম পোস্ট। ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া। বলিউড জীবন এবং নিজের ঈমান নষ্ট হওয়ার বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি আমি বহু দিন ধরেই অন্য একজন হয়ে ওঠার চেষ্টা করে চলাচ্ছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছি, যদিও আমি এখানে সুন্দর ভাবে ফিট হতে পারব কিন্তু আমি এটার জন্য নয়।
এই ফিল্ড আমাকে অনেক ভালবাসা, সমর্থন, প্রশংসা দিয়েছে, কিন্তু এই ফিল্ড আর যেটা করেছে তা হল আমাকে ক্রমশ অবমাননার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ক্রমশ অসচেতন ভাবে আমি আমার ঈমান (বিশ্বাস)-এর থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ আমি এমন একটা পরিবেশে কাজ করতাম যা ক্রমাগত আমার ঈমানের মাঝে এসে দাঁড়াত, ধর্মের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বিপন্ন হয়ে পড়েছিল।’
পাঁচ বছরের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থেকে নিজের ঈমান বাঁচাতে স্রষ্টার দেখানো পথে হাঁটা শুরু করলেন উদীয়মান এই নায়িকা জায়রা ওয়াসিম। ফিল্মি কেরিয়ার তাঁর বিশ্বাস এবং ধর্মের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সে কারণেই যে তিনি অভিনয় ছাড়ছেন, জায়রার পোস্টে বারবারই সে কথাই উঠে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গে স্কুল গুলোতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা খাবার ঘর রাখার নির্দেশ মমতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলায় যেসব সরকারি স্কুলগুলোতে ৭০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম শিক্ষার্থী রয়েছে সেখানে আলাদা করে খাবার ঘর (ডাইনিং রুম) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
রাজ্য সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, রাজ্য সরকারি অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ৭০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে তার যেন একটি তালিকা পাঠানো হয়। ওই স্কুলগুলোতে মিড-ডে মিল পরিবেশন করার জন্য একটি আলাদা খাওয়ার ঘর তৈরির বিষয়েও প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
আর রাজ্য সরকারের এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বামদল সিপিআইএম।