সোহেল আহমেদ।
কথা ছিলো বরিশাল হবে ডিজিটাল! উন্নয়ন হবে সবখানে। মন্ত্রী,এমপি, ছাড়াও বড় বড় নামকরা শিল্পপতি ব্যবসায়ী সবই ছিলো। প্রত্যেকের মুখেই উন্নয়নের নানা ফুল ঝুড়ি। শত উন্নয়নের মাঝেও একটা বেদোনাহত ঘটনায় ওইসব উন্নয়নের সুনাম ম্লান হয়ে যায় সাধারন মানুষ থেকে সচেনমহলের কাছে। সরকার চায় উন্নয়ন,কিন্তু কর্তারা কি গুরুত্ব দেন সরকারের চাওয়াকে! মানুষ বিপদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তুু জনপ্রতিনিধি ভোটের পর যে মনেই রাখেন না গরীব মেহনতি মানুষের কথা তাকি সবাই বোঝে? শুধুই হাহাকার, হতাশায় নিমজ্জিত এসব মানুষগুলো একটা সময়ে জনপ্রতিনিধির থেকে নিরাস হয়ে থাকেন। তবুও পথ চেয়ে থাকেন কোনো এক আলোর সন্ধানীর। কিন্তুু কতকাল থাকবেন অপেক্ষায় এমনটিই প্রশ্ন পানির মধ্য দিয়ে লাশ নিয়ে হেটে চলা অবহেলিত মানুষের।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লামচড়-ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে শতাধিক পরিবার বসবাস করে। সুগন্ধা নদীর ভাঙনে এসব পরিবারের কপালের কালিমা দুর করার যেনো কেউ নেই। খড়া কিংবা বর্ষা সব মৌশুমেই এখানকার মানুষের দুখ,দুর্দশার ভয়ানক চিত্র দেখার মতও কোনো মানুষের খোজ মেলে না। স্থানিয় সুত্র জানায়, শতাধিক পরিবারের বেশির ভাগ নারী পুরুষ পাশের দুটি ইট ভাটায় কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করে। অনেকে জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরে উপার্জন করতে ব্যাস্ত।
সরকারের দেয়া নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত লামচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মানুষ। নদী ভাঙনের কারনে পাশের চড়ে বসবাস করা লামচর ক্ষুদ্রকাঠী গামকে এপারের রাজকর গ্রামের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। ফলে রাজকরের ইউপি সদস্য মো: জসিমের ওপর ওই এলাকার মানুষের দেখভালের দ্বায়িত্ব পড়লেও তিনি নিজের আখের নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কাজতো দুরের কথা বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছে একবার দেখাও করেন না। ফলে সারাজীবন দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেও মরনের পরেও অবহেলিত মানুুষটিকে পানিতে ভেসে যেতে হয় তার চিরোদিনের গন্তব্য স্থানে।
জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাসহ এলাকার আশপাশ। খেটে খাওয়া অভাবি মানুষদের জন্য মাটি কেটে স্থায়িরাই এখানে একটি গণকবরেরর ব্যাবস্থা করে। কিন্তু বর্ষায় তা তলিয়ে যায়। গণকবরে যেতে হলে একটি বাঁশের শাকো পার হতে হয়। কিন্তুু লাশবাহি খাট নিয়ে শাকো পার হওয় সম্ভবও নয়। তাই কমর সমান পানি দিয়েই মৃত্যুর যাত্রা! অথছ এতোসব দুর্ভোগের সমাধান মাত্র একটি কালভার্ট। যা নির্মাণ করতে প্রায় তিন লাখ টাকার প্রয়োজন। রহমাতপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০ হাজার টাকার ব্যাবস্থা করা যেতে পারে বলে মনেকরেন ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার সুমন।
তিনি গতবুধবার রাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল আর্থটাইমস২৪ ডট কমকে মুঠোফোনে জানান,ওই এলাকার মানুষের জন্য ইচ্ছে থাকলেও আমাদের বড় কোনো অর্থের যোগান নেই। আমরা ৫০০০০ টাকা দিলেও হবে না। কালভার্ট নির্মাণে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন। সরকারের এমপির সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করে তিনি বলেন আমি অনেকবার এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। এরকম সংসদসদস্যমহোদয় যদি আসতেন তবে দেখে অনুভব করতে পারতেন বাস্তব চিত্র।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য এবং উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব বলেন আমি ওই এলাকার একটি মসজিদের জন্য একটা অনুদানের চেস্টা করছি। তবে এলাকটি এতোই অবহেলিত এমনটি জানতেন বলে শিঘ্রই পরিদর্শনে গিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট তুলে ধরবেন। এক প্রশ্নের উত্তরে ফারজানা ওহাব বলেন,আমাদের প্রশাসনিক একটি নিয়ম রয়েছে। তাই মন চাইলেও কোনো সমস্যার তাৎক্ষনিক সমাধানে এগুতে পারছি না। তবে এখন বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথেই দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এদিকে ঘটনা স্থল দেখতে আসবেন বলে একাধিকবার আশ্বাস দিয়েও আসেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।