কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যা বললেন ফারুকী

:
: ৬ years ago

বাংলাদেশে চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকার শাহবাগের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রোববার থেকে। আন্দোলনে পুলিশ আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতাও হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যার পর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে আর লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের একদফা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর তারা শাহবাগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আবারও জড়ো হতে শুরু করেন। শুধু শাহবাগেই সিমাবদ্ধ নেই এই আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে সারাদেশে।

নড়ে চড়ে বসেছেন বুদ্ধিজীবীরা। থেমে নেই মিডিয়া কর্মীরাও। অনেকেই জানাচ্ছেন তাদের মত-প্রতিক্রিয়া। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই আন্দোলন নিয়ে। ফারুকী লিখেছেন, ‘অনেকগুলা চিঠি আসছে। কোটাসংস্কার আন্দোলন বিষয়ে। আমি জানি কখনো কখনো নিরবতা অপরাধের সামিল। বেশ কয় বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কথা বলতে হয়েছিলো। আরেফিন স্যারও ঐ অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে কথা প্রসঙ্গে মেধাবী ছাত্রদের সরকারী চাকরিতে আকৃষ্ট করার প্রয়েজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছি। কারন সরকারী চাকরিতে যদি মেধাশুন্যতা তৈরি হয় তাহলে ভবিষ্যতে পলিসি নিয়ে আলোচনা এবং সময়োপযোগী পলিসি নির্ধারনে আমরা নিদারুন ব্যর্থ হবো।

সাম্প্রতিক সময়ের কোটা বিষয়ক আলোচনা দেখে সেই কথাটা আবার মনে পড়লো। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের নানান সুযোগ সুবিধা দেয়ার পক্ষে আমি। বাড়ী দেন, চিকিৎসা সেবা দেন, ভালো ভাতা দেন। কিন্তু সরকারী চাকরিতে নিয়োগ হওয়া উচিত মেধার ভিত্তিতে। এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত। তবে অতি উৎসাহীদের কাছ থেকে সাবধান থাকা উচিত এই আন্দোলনে সামিল ভাই-বোনদের।

মেধা ভিত্তিক নিয়োগের দাবীর মধ্যে কেউ যেনো এমন অপ্রয়োজনীয় কিছু না বলেন যাতে মনে হয় “মুক্তিযাদ্ধাদের” ব্যাপারে কোনো অ্যালার্জি আছে। পরিশেষে, আমি আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটার ব্যাপারটা একটা যৌক্তিক জায়গায় নিয়ে আসবেন।’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ’এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল –
কোটা-ব্যবস্থা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা (আন্দোলনকারীরা বলছেন ৫৬% কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ। সেটিকে ১০% এ নামিয়ে অঅনতে হবে), কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়স-সীমা- (মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরীর বয়স-সীমা ৩২ কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০। সেখানে অভিন্ন বয়স-সীমার দাবি আন্দোলনরতদের।), কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা নেয়া, যাবে না ( কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরি আবেদনই করতে পারেন না কেবল কোটায় অন্তর্ভুক্তরা পারে), চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না।