কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার চান শিক্ষার্থীরা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার বিচার চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দে নইলে পদ ছেড়ে দে’, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস থেকে শিক্ষা বাচাঁও,’ ‘আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার বিচার চাই’, ‘আন্দোলনের সাথে প্রহসন বন্ধ কর, যৌক্তিক সংস্কার কর’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেন্টুর ব্যবহান করেন।

মানববন্ধনে উম্মে হাবিবা বেনজির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই গত দুইদিন ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রক্টর স্যার গত শনিবারের ঘটনায় বলেছেন, ক্যাম্পাস ছুটি ছিল, তিনি কিছু জানতেন না। তার কাছে কোনো অভিযোগ যায়নি। অথচ প্রক্টরের দায়িত্ব ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ক্যাম্পাস ছুটি কিনা এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুক।’

সালমান ফারসি নামের আরও এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত ১০ বছরে ছাত্রলীগের কেউ আহত হয়নি। তারা অন্যদের মারধর করে আহত করছেন। এতে তাদের কোনো বিচারও করে না প্রশাসন।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার সংকট দেখা দিয়েছে। ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের উচিত তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া। প্রক্টর সার বলেছেন, কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবে। অথচ এদিকে গতকালকে হামলায় অনেকেই গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কাউকে গুম করা হয়েছে। কারা অভিযোগ করবে। এগুলো প্রশাসন দেখে না?’

গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করতে জড়ো হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তবে হামলা বা মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি।

এদিকে কোটা সংস্কারের এ আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সোমবার কোটা ব্যবস্থা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।