দুরভিসন্ধি নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি এভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার সেতু ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। দুই দিন সংবাদপত্রও পড়তে পারেননি। পরবর্তী সময়ে শুনেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে গঠিত কমিটির প্রথম সভাও হয়েছে। কমিটি দেশ-বিদেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। এই সংস্কারের বিষয়টি কমপ্লিকেটিভ। এ ব্যাপারে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। কিন্তু এর সংস্কার বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা ও ইচ্ছার সামান্যতম কমতি নেই।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, যারা আন্দোলনে আছেন তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, একটা শক্তিশালী কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটিও কার্যক্রম শুরু করেছে। সংশ্নিষ্ট সবাইকে তাই ধৈর্য ধরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্দোলন করার মতো জনসমর্থন বিএনপির নেই। তারা এখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোটা সংস্কারের অন্দোলন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ফোন দিয়েছিলেন, এটাও সবারই জানা।’
‘বিএনপিকে ভারত কিছুতেই ভরসা করবে না’ দিল্লিতে এইচটি ইমামের এমন বক্তব্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এইচটি ইমাম সাহেবের বক্তব্য সম্পর্কে মিডিয়ায় যে খবর এসেছে, আমি তার সঙ্গে আলাপ করে তা চেক করার সুযোগ পাইনি। কারণ তিনি নয়াদিল্লি থেকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গেছেন। তার সঙ্গে আলাপ না করে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাস বাকি। মানুষ ইলেকশনের মুডে আছে। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে জনগণের মাথাব্যথা আছে মনে হয় না। মাথাব্যথা বিএনপির থাকতে পারে। আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে আওয়ামী লীগেরও কোনো সমস্যা নেই।’